জাতীয় শোক দিবসে বিইউজে’র আলোচনা সভা

জাতির পিতার হত্যাকারিদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ অগাস্ট ২০১৯ ১৭:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯১ বার।

বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদেও অনেকেই এখনও বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে এই হত্যাকা-ের মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি করা হয় শোক সভায়।
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিইউজে) সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সবা অনুষ্ঠিত হয়। বিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদি ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম নয়ন, সিনিয়র সাংবাদিক সমুদ্র হক, কমলেশ মোহন্ত সানু, এসএম কাওসার, মাসুদুর রহমান রানা, মুরশীদ আলম, সবুর আল মামুন, আসাফ-উদ-দৌলা ডিউক, এম. সারওয়ার খান, এইচ আলিম, মামুন উর রশিদ, গৌরব চন্দ্র দাস, ফরহাদুজ্জামান শাহী, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতিকে নির্মূল করতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সৃষ্টি করা হয়েছিলো। সেই কালোরাতে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে এদেশে আবারও পাকিস্তানপন্থীদের উত্থান ঘটানো হয়। ফলে যে আকাক্সক্ষা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশ স্বাধীনের ডাক দিয়েছিলেন তা স্থবির হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এদেশ পাকিস্তানপন্থী স্বৈরশাসকদের কবলে থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যেমন বিকৃত করা হয়, তেমনি কালাকানুন আরোপ করে জাতির পিতার হত্যাকারিদের পুনর্বাসন করা হয়। 
জাতির পিতার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ শাসনের দায়িত্ব নিয়ে এদেশকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষায় ফেরানোর উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থেকে সহযোগিতা করলেই এদেশ জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা হয়ে উঠবে।
এর আগে সকালে প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং শোক দিবসে কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যসহ ১৫ আগষ্ট হত্যাকা-ের শিকার স্বজনদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।