বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশুসহ মাকে অপহরন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ অগাস্ট ২০১৯ ১২:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫০৮ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া কোলের সন্তানসহ তার কিশোরী মাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় অপহৃত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী উপজেলার কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা আব্দুর রশিদ মন্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। সে উপজেলার চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছোট চিকাশি গ্রামের এক ব্যবসায়ির মেয়ে। বিয়ের প্রলোভনে একই এলাকার রঘুনাথপুর গ্রামের বকুল হোসেন ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল হোসেন মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় ধরে ফেলে নানা আব্দুর রশিদ। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা আব্দুর রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করে। 

এরপর মেয়েটি অন্তঃসত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৪৩ পি)। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও প্রেমিক বকুল হোসেনকে আসামী করা হয়েছে। এ অবস্থায় ধর্ষনের শিকার কিশোরী স্কুলছাত্রী গত ১ জানুয়ারি বাবার বাড়িতে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। মামলার আসামী বকুল হোসেন ও রশিদ মন্ডল বর্তমানে বগুড়া কারাগারে আটক রয়েছে। 

এদিকে সন্তান প্রসবের পর লোক লজ্জায় বাড়ি ছেড়ে মেয়েটি তার দাদির সাথে উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। এ অবস্থায় ১৫ আগষ্ট দুপুরে সন্তানসহ ওই কিশোরী মাকে সোনাহাটা বাসা থেকে অপহরন করেছে ধর্ষণ মামলার আসামী পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ধর্ষিতা মেয়েটির তালাকপ্রাপ্ত মা দেলোয়ারা খাতুনসহ ধর্ষন মামলার আসামী পক্ষের ৫ জনের নাম রয়েছে।  

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেয়ের বাবার অভিযোগটি থানায় সাধারণ ডাইরী হিসেবে রেকর্ড করে ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।