দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় কলকাতায় ব্যবসায়ীর ছেলে আটক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ০৬:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

কলকাতার রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় স্থানীয় বিখ্যাত রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিকের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা যায়।

লাউডন স্ট্রিটে শুক্রবার রাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ১০০ কি.মি. গতিবেগে চলছিল একটি জাগুয়ার গাড়ি। চালাচ্ছিলেন আরসালান পারভেজ। লাউডন স্ট্রিটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা মারে গাড়িটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে রাস্তার পাশে একটি ট্রাফিক ছাউনিতে ধাক্কা মারে। বৃষ্টির জন্য তার পাশেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তিন বাংলাদেশি। তাদের ওপর দিয়ে চলে যায় জাগুয়ার। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। একজন গুরুতর আহত হন।

এরপর গাড়িটি ধাক্কা মারে একটি মার্সেডিজকে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মার্সেডিজের যাত্রীরা। কিন্তু ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান জাগুয়ারের চালক।

ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ গাড়ির চালক আরসালান সংস্থার মালিকের ছেলে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে।

পারভেজের বয়স ২২ বছর। ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রেশন হয় তার গাড়িটির। অন্যদিকে মার্সেডিজটি এক অয়েল কোম্পানির।

পারভেজের বিরুদ্ধে পুলিশ বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া তিনি মদ্যপ ছিলেন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ির ব্রেক ফেল বা অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। গাড়িতে পারভেজের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িতে চালক একাই ছিলেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, চোখের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মইনুল আলম। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ফারহানা ইসলাম তানিয়া এবং তার আত্মীয় জিয়াদ। দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু মইনুল ও তানিয়ার মৃত্যু হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন জিয়াদ।

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার সূত্র জানায়, লাশ দেশে আনার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হবে মইনুল-তানিয়ার মরদেহ।