টিউমার মানেই কি ক্যান্সার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ০৬:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৯৩ বার।

শরীরে ছোটখাটো টিউমার হলেই আজকাল অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান– ক্যান্সার হলো কি-না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরও অনেকের ভয় কাটতে চায় না। ক্যান্সার নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার কারণে এমনটা হতে পারে। আবার ক্যান্সার নিয়ে ভীতির কারণেও এটি ঘটতে পারে। তাই কোন ধরনের টিউমার ক্যান্সার সৃষ্টি করে, আর কোন ধরনের টিউমার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী নয়, তা জানতে হবে। তাহলে ক্যান্সার নিয়ে অযথা ভীতি কাজ করবে না।

টিউমার হলো শরীরের অস্বাভাবিক টিস্যু পিণ্ড, যার কোষ বৃদ্ধি হয় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত ও সমন্বয়হীনভাবে। কোষের ধরন ও  আচরণ অনুসারে টিউমার দুই ধরনের। বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন টিউমার বিপজ্জনক নয়। এই টিউমারের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এটি একটি আবরণ দ্বারা বেষ্টিত, ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, আশপাশে বা শরীরের অন্য কোনো স্থানে ছড়ায় না, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভালো হয় ও স্বভাবতই বাড়ে না। তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার খুবই বিপজ্জনক। এই টিউমার স্বভাবতই কোনো আবরণ দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। ফলে বৃদ্ধি হয় অনিয়ন্ত্রিত ও অগোছালো, বৃদ্ধি ঘটে দ্রুত, আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে, রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই টিউমার থেকে ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি বেশি থাকে।

ক্যান্সার আক্রান্ত হলে ক্ষুধামান্দ্য, বমিবমি ভাব, রক্তশূন্যতা, অল্প সময়ে ওজন কমে যাওয়া, দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। শরীরে ফোলা বা টিউমারের আচরণ যদি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বৈশিষ্ট্যের মতো না হয় ও রোগীর যদি ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণের কোনোটাই না থাকলে ওই টিউমার নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আবার ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেলেও প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা করানো গেলে বেশিরভাগ ক্যান্সার ভালো হয়। তাই শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন।


লেখক: পরামর্শক, রেডিয়েশন অনকোলজি ইউনাইটেড হাসপাতাল