মানুষ চিনতে ভুল করে আফসোস প্রসেনজিতের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ০৮:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৪ বার।

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সূত্রে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। করো নাম না নিয়ে কলকাতার এই অভিনেতা আক্ষেপ করেন, অভিনেতা হয়েও মানুষ চিনতে ভুল করেছেন। 

জি নিউজ জানায়, চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রসেনজিৎকে সরিয়ে আনা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে। বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি বলে দাবি অভিনেতা।

মুকুল রায়ের সঙ্গে উড়োজাহাজে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, “মুকুল রায়ের সঙ্গে প্লেনে দেখা হওয়ার কথা আমিই বলেছি। মিডিয়া দুইয়ে দুইয়ে চার করেছে। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। মানুষ হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা তোমার কাছে যেতে পারি না! এর মানে কি তার পেছনে একটা গল্প রয়েছে? এটা আজীবন করেছি। একটা মানুষের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলব না?”

প্রসেনজিৎ প্রযোজক ও কলাকুশলীদের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছিলেন বারবার। তিনি বলেন, “সারা জীবন ভুল বোঝাবুঝি অবসানের চেষ্টা করে গিয়েছি। কারো ইগো ক্ল্যাশ হলে কথা বলেছি। সত্যি বলতে কোনো রাজনীতিবিদ আমাকে চাপ দেননি। এই সম্মানটা কাজ থেকে পেয়েছি।”

যাদবপুর থেকে প্রসেনজিৎ প্রার্থী হবেন বলে জল্পনা চলছিল। তার বাবা বিশ্বজিৎ যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এ নিয়ে বলেন, “যাদবপুর থেকে আমি দাঁড়াচ্ছি না, এটা বারবার বলেছি। আর বাবার রাজনৈতিক দলে যোগদানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। বাবা তৃণমূলেও ছিলেন। কিন্তু ওনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে যাইনি। উনি যে পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্মে গিয়েছেন, আমি ইউটিউব থেকে জেনেছি। আমাদের ওই ব্যাপারটা নেই। প্রফেশনালি কেউ সিদ্ধান্ত নিলে সেটা তার দায়িত্ব।”

কারো নাম উল্লেখ না করে আরও বলেন, “অবাক লাগছে যাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম, অভিনেতা হিসেবে তাদের যাচাই করতে পারিনি। যারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন, আমি নিজেকে চেনাতে পারলাম না। একজন মানুষের কথা মনে হচ্ছিল, নিজেকে সরিয়ে নিতে পেরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিমানটা এখনো আছে। সেটা যাবে না। বিশেষত এই বয়সে যাওয়াটা মুশকিল।”

দুর্গাপূজায় মুক্তি পাবে প্রসেনজিতের পরের ছবি ‘গুমনামী’। পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখার্জি। সম্প্রতি টিজার মুক্তি পাওয়ার পর নির্মাতার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।