বগুড়া ডিবি পুলিশের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ১০:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬১ বার।

ঢাকার মিরপুর থেকে বিরল রঙের প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বগুড়া ডিবি পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে মিরপুর-১ নাম্বার রোডের মধ্যপাইকপাড়া এলাকায় ওই অভিযানে ফয়েজ উদ্দিন নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়।

বগুড়া ডিবি পুলিশের সুত্র জানায়, শুক্রবার ১৬ তারিখ রাতে শহরের চারমাথা এলাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ সহ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট গনকীরপাড়া এলাকার নিপা বেগম (২০) ও তার স্বামী ফারুক মিয়া (২৫) দম্পতি ,কক্সবাজার সদরের ওমর ফারুক (২৪) এবং সায়েম (২৩) কে আটক করা হয়। পরে ওই রাতে সদর থানায় প্রচলিত মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারপরের দিন আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে ফারুক মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে তার ঢাকার ভাড়া বাসায় বিপুল পরিমাণের ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে বগুড়া ডিবি পুলিশের একটি দল ফারুক দম্পতীর ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি রুমে কালো রঙের স্কুল ব্যাগ থেকে ৮ টি প্যাকেটে মোট ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সেই সময় ওই কিশোরকে তাদের সহযোগী হিসেবে আটক করা হয়।

ডিবি পুলিশ আরাও জানায়, ৮ টি প্যাকেটের মধ্যে ৭ টিতে ৪ হাজার পিস করে ২৮ হাজার পিস ইয়াবা ও একটিতে ২ হাজার পিস ইয়াবা ছিল। কক্সবাজার থেকে আটকৃত অপর দুই সহযোগী ওমর ফারুক ও সায়েম এর মাধ্যমে ইয়াবা ঢাকায় এনে উত্তরবঙ্গে তার বড় চালান আনতো। এবং আটকৃত কিশোর ফয়েজ উদ্দিন ফারুক দম্পতির সন্তান হিসেবে তাদের সাথে বসবাস করতো। মূলত ফয়েজ কিশোর হওয়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য তাকে ব্যবহার করা হতো। এই নিয়ে ওই মামলায় মোট সাড়ে তেত্রিশ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হলো। এবং আটক কিশোরকে ওই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি আছলাম আলী জানান, আসামি ফারুকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ঢাকা থেকে বিরল রঙের এই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের জানামতে ফারুক এই ব্যবসার গড ফাদার। তবে তাদের আদালতের মাধ্যমে আবারও রিমান্ড আবেদন করে অধিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যেন কেউ পার না পায়।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র সনাতন চক্রবর্তী জানান, এই পর্যন্ত আমাদের উত্তরবঙ্গে মাদকের ঘটনায় এটি সবচেয়ে বড় উদ্ধার। মাদকের বিরুদ্ধে সব সময়ের মতো আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে এবং এদের পেছনে আরও বড় কেউ আছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।