নুসরাত হত্যা মামলায় হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৭ বার।

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় রঞ্জিত সূত্রধর নামে চট্টগ্রাম সিআইডির এক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রবিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।

ফেনী জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, চট্টগ্রাম সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ও হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. শামছুল আলমের পক্ষে তার সহকারী রঞ্জিত সূত্রধর আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আদালতে ৮৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ আগস্ট সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্য প্রদান কালে চট্টগ্রাম সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ও হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. শামছুল আলমের পক্ষে তার সহকারী রঞ্জিত সূত্রধর বলেন, গত ৯ এপ্রিল নুসরাতের খাতা থেকে পুলিশ একটি চিঠি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম সিআইডির কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। পরে সহকারী পুলিশ সুপার ও হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. শামছুল আলম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে সময় আমি তার সঙ্গে ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, মো. শামছুল আলম পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করার কারণে আদালতে তার পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বেচ্চ শাস্তি চেয়ে করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।