ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করায় মা-বাবাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৭ বার।

ধর্ষণ চেষ্টার মামলা তুলে না নেয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রোববার দুপুরে ওই কিশোরীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয় নতিডাঙ্গা গ্রামের লাল্টু (৩৫), শরীফুল ইসলাম (৪০) ও রাজুকে (৩০)।

ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে এক মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা মাদ্রাসাছাত্রীর মা শীলা খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মামলা তুলে নিতে প্রায়ই নানাভাবে হুমকি দিত আসামিরা। গত তিন দিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে পুনরায় ধর্ষণ করা হবে’।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা জানান, রোববার ছিল ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন। ঠিক এর আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরিফুল লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মারধর করে। একপর্যায়ে আমাদের দুজনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্মশান ঘাটের কাছে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। একই সঙ্গে এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবার মামলা দায়েরের পর আমরা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেপ্তার করি। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।