বগুড়ার আদমদীঘি ও মুরইলে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নেইঃ ভয়াবহ যানজটে মানুষের ভোগান্তি চরমে

আদমদীঘি উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ১১:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৩৩ বার।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর এবং মুরইল এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা (ইজিবাইজ), চার্জার রিকশা ও রিকশা ভ্যানের স্থায়ী কোন স্ট্যান্ড নেই। এতে ওই দু’টি এলাকায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকছে। কখনও কখনও সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
বগুড়া-নওগাঁ সড়ক সংলগ্ন আদমদীঘি ও মুরইল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। যে কারণে ওই দু’টি এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, চার্জার রিকশা ও রিকশা ভ্যানসহ এ ধরনের কয়েক শ’ হালকা যান চলাচল করে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড না থাকায় এসব যানবাহন যেখানে-সেখানে থামছে এবং যাত্রীদের তুলছে ও নামিয়ে দিচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত সেখানে যেমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি যানজটও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজার রহমান জানিয়েছেন, জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আদমদীঘি ও মুরইলে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ সেই অঙ্গীকার পূরণ করেন নি। তিনি জানান, হাটবারের দিন মুরইলের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় হাটবারের দিন পথচলা কঠিন আকার ধারন করে। সাংবাদিক হাফিজার রহমান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ড জুড়ে মহাসড়ক উচু করে উন্নয়ন কাজ করার ফলে যানজট আরো তীব্র আকার ধারন করে। বর্তমানে ব্যবহার যোগ্য কোন ফুটপাত না থাকায় যাত্রীরা মহাসড়কে নির্মাণ করা উচু স্থানকেই যানবাহনে ওঠা-নামার উপযুক্ত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ফলে যানজটের স্থায়ীত্ব আরও বেড়েছে।
যানজট নিরসনে পুলিশ কোন ভূমিকা নেবে কি’না জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বাসস্ট্যান্ড ও থানা সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ সর্বক্ষনিক কাজ করছে।