জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই গণপিটুনিতে গরুচোর নিহত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩০ বার।

ভৈরবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বাড়িতে ফিরে গণপিটুনিতে গরুচোরের সর্দার রফিকুল ইসলাম (৪০) নিহত হন। মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরবের জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলাম উপজেলার মধ্যেরচর গ্রামের কালাগাজীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রফিকুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত গরুচোর সর্দার। ভৈরবে কৃষকসহ যাদের গরু চুরি হয় সবই তার ইঙ্গিতে বা নির্দেশে হয়। গরুচুরি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় খুন, মাদকের একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশ জানায়। খবর যুগান্তর অনলাইন।

গত ২৭ জুলাই পুলিশ ও ডিবি তাকে গ্রেফতার করে গরুচুরির মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়। ২৩ দিন জেলে থাকার পর সোমবার আদালত থেকে জামিন পেয়ে রাতেই বাড়ি আসে সে।

খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রফিকুল এলাকার বাজার থেকে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে এলাকার শত শত ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত জনতা তাকে লাঠিপেটাসহ দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে হত্যার পর রাস্তার পানির খাদে ফেলে জনতা পালিয়ে যায়।

এলাকার কৃষক রমিজ মিয়া জানান, এই অঞ্চলের মানুষ রফিকের ভয়ে রাত জেগে গরু পাহারা দিত। সে ছিল গরুচোর সর্দার। এলাকাসহ আশপাশের উপজেলা, এমনকি হাওরের চুরির গরু তার বাড়িতে আনার পর হাট-বাজারে বিক্রি করে সে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছে।

মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, রফিকের ভয়ে এলাকাবাসী কোনো প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পেত না। গরুচুরির কারণে তার প্রতি এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে তার অপরাধ ও যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জনতা তাকে আজ হত্যা করে। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বলে জানান কয়েকজন কৃষক।

নিহত রফিকের বড় ভাই ফেরদৌসের দাবি, আমার ছোট ভাই এক সময় খারাপ থাকলেও সে ইদানিং গরুচুরির সঙ্গে জড়িত ছিল না। অন্যরা গরুচুরি করে তার নামে বদনাম করত। এবার জেল থেকে বাড়ি এসে সে আমাকে বলেছিল আমি আর গরুচুরি করব না।

তিনি বলেন, এলাকার লাল মিয়া, গোলাপ মিয়া, ফারুক, হাজি লতিফ, শফিক, আলামিনসহ একটি প্রতিপক্ষ এলাকাবাসীকে উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ভাই হত্যার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।

ভৈরব থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, ২৪ দিন আগে পুলিশ রফিককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় খুন, মাদকসহ একাধিক গরুচুরির মামলা আছে। সে এলাকার চিহ্নিত গরুচোর সর্দার।

এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে আজ তাকে হত্যা করে। ঘটনায় তার পরিবারের কেউ বাদী হয়ে কারো বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।