আগামী কয়দিন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন ডমিঙ্গো

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০১৯ ০৭:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৫ বার।

মিরপুরে জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের তৃতীয় দিন দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ পর্ব শুরু করলেন রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গো। মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনা।

বুধবার সকালে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরেছেন ডমিঙ্গো। এরপর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন দলের প্রধান নবনিযুক্ত কোচ। জানালেন আগামী কয়দিন এরকম যোগাযোগ স্থাপনেই কাটবে তার।

“আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। খেলোয়াড়দের জানা, এক বা দুই সপ্তাহর মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি করা। আমার মনে হয় এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। দেখি খেলোয়াড়রা তাদের কাজটা কীভাবে করে। আগামী কয়েকদিন আসলে একটা পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকব, দেখব কে কি করে, শিখতে চাইব ব্যাপারগুলো।”

বাংলাদেশে নেমে বিমানবন্দরেই ডমিঙ্গো দেখেছেন গণমাধ্যম ও মানুষের প্রত্যাশার চাপও। প্রত্যাশার সঙ্গে একটু নড়চড় হলেই এখানে কোচের চেয়ার নিয়ে টান পড়ে। তাই আগের কোচেরা পারেননি চুক্তির মেয়াদ শেষ করতে। স্বাভাবিক কারণে এই চাপ অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিন্তু ডমিঙ্গো জানালেন, ব্যাপারটা উপভোগ করবেন তিনি।

“পাঁচ বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে কাজ করেছি। ওখানেও বিপুল প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশেও তাই। আমি রোমাঞ্চিত। আসলে প্রত্যাশার চাপ নিতে আমি অভ্যস্ত। যদিও গত দুই বছর ধরে ওদের মূল দলের সঙে ছিলাম না। এ দল নিয়ে কাজ করছিলাম। আমি ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে, নির্বাচন , কৌশল বাছাই করতে মুখিয়ে আছি।”

“কোচ হিসেবে চাপকে জয় করেই আমরা এগিয়ে যাই। উপভোগ করি প্রত্যাশার চাপ। আমরা যদি আগেই জেনে যাই যে আমরা সব ম্যাচ জিতবই, তাহলে সেটা হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। চাপ যখন আসবে, চ্যালেঞ্জ আসে তখন। উপভোগের ব্যাপারটাও তখন বেশি।”