জয়ে ফিরল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৪ বার।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা ইমার্জিং দলের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়া ইমার্জিং দলের ক্রিকেটারদের বিপক্ষ তিনশ' ছাড়ানো রান তোলে শ্রীলংকা। বাংলাদেশ আবার শতকের পরেই অলআউট হয়ে যায়। হারে ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি তাই শান্ত-ইয়াসির আলীদের জন্য ছিল সিরিজ বাঁচানোর। বাংলাদেশ ইমার্জিং দল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। বিকেএসপিতে বুধবার সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে।

লংকানরা এ ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে। রান তোলে ২৭৩। দুই বল হাতে থাকতে অলআউট হয়ে যায় তারা। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক নাজমুল ইসলাম শান্ত দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন। খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। অপর ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী করেন ৮৫ রান। ম্যাচ সেরাও হন তিনি।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিং জুটি ভালো হয়নি। দলীয় ১২ রানে ওপেনার নাইম শেখ ফিরে যান। তিনে নামা শান্ত আগের ম্যাচে ফিফটি করা সাইফ হাসানের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাইফ আউট হন। এরপর তৃতীয় উইকেটে ১২০ রান যোগ করেন শান্ত ও ইয়াসির। তবে তাদের কেউ সেঞ্চুরি না পাওয়ার একটি আক্ষেপ থেকে গেছে দলের। শান্ত আউট হওয়ার পরে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির। আউট হওয়ার আগে ৯৩ বলে তিন চার ও পাঁচ ছয়ে ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। আফিফ করেন ১৮ রান।

ইয়াসির আউট হতেই অবশ্য হারের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ২৮ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সহজ করে আনা লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। শেষ ২ ওভারে ২০ রান লক্ষ্য দাঁড়ায়। তবে তিন বলের মধ্যে দুই ছক্কা মেরে জয়ের পথ সহজ করেন পেসার ইয়াসিন আরাফাত।

শ্রীলংকার হয়ে এ ম্যাচে কামিন্দু সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। নিসানকা খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা আশালঙ্কা ৪৫ রান করে আউট হন। এছাড়া শ্রীলংকার হয়ে অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ৪৩ রান করেন। পরে আবার ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে ১০ ওভারে ৫১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন বাঁ-হাতি পেসার শফিউল ইসলাম। এছাড়া অফ স্পিনার নাইম হাসান নেন দুই উইকেট।