বগুড়ার শেরপুরে একটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১২ বার।

বগুড়ার শেরপুরে সদর কদিম হাঁসড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি স্বার্থন্বেষী চক্রের বিরুদ্ধে। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সীমানা প্রাচীর, সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চসহ অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরদিন বুধবার বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে থানায় উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক চলছিল।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সদর কদিম হাঁসড়া গ্রামে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী ওই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মঞ্জুরি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের হযরত আলী মন্ডলের নেতৃত্বাধীন একটি স্বার্থন্বেষী চক্র মাদ্রাসাটির কার্যক্রম বন্ধ করতে নানামুখি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগস্ট সকালে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দখলে নিতে চক্রটির বেশকিছু ব্যক্তি সেখানে একত্রিত হন। একপর্যায়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এমনকি মাদ্রাসাটির সীমানা প্রাচীর, সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। জানতে চাইলে অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তারা হামলা চালিয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর করেছে। এসময় তার প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক আল আমিন প্রতিবাদ জানালে তার ওপর চড়াও হয়। এমনকি তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র হামলাকারীরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হযরত আলী মন্ডল বলেন, 'গ্রামটিতে আমরা হাফেজিয়া মাদ্রাসা করতে চেয়েছিলাম। মূলত এনিয়ে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব তৈরী হয়েছিল। বাকবিতণ্ডা ছাড়া তেমন কিছুই হয়নি।'

এদিকে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বগুড়া জেলা জমিয়াতুল মোর্দারেসীনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই বারী বলেন, 'মাদ্রাসাটি নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ স্যার ও ওসি হুমায়ুন কবির স্যারের হস্তক্ষেপে তা নিরসন হয়েছে।

শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, 'মাদ্রাসায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। দু’পক্ষের কথা শোনে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। পরে উভয়পক্ষই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সমঝোতা করেন। একইসঙ্গে থানায় দায়ের করা অভিযোগটিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।'