গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা: রিজভী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট ২০১৯ ০৭:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “বাকশালের মৃত্যুকূপ থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকে আওয়ামী নেতাদের প্রতিহিংসা।”

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সব কথা বলেন। খবর দেশ রুপান্তর 

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।”- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, “ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে ১৫ আগস্টের মর্মস্পর্শী ঘটনার পর আওয়ামী লীগের লোকজন সরকার গঠন করলো কীভাবে?”

আরও বলেন, “১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর লাশ ডিঙিয়ে মোশতাক সরকারের স্পিকার থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপি ছিলেন এদের অনেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তারা এমপি হলেন কীভাবে? তৎকালীন সেনাপ্রধানের কোনো দায় নেই। অথচ জিয়াউর রহমানের নাম কেন টেনে নিয়ে আসেন সেটি আমরা জানি। সেটি হলো- জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা। বাকশালের মৃত্যুকূপ থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকে আওয়ামী নেতাদের প্রতিহিংসা।”

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “১৫ আগস্টের সময় বিএনপির সৃষ্টি হয়নি এবং জিয়াউর রহমান তখন তো কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন না। তাহলে তাকে অভিযুক্ত করতে আওয়ামী নেতারা এত তৎপর কেন? তৎকালীন সেনাপ্রধানের কোন দায় নেই কেন? কারণ তিনি আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ইতিহাসই এর প্রমাণ। যে ব্যক্তিরা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্লট তৈরি করেছিল, যে ব্যক্তিরা খন্দকার মোশতাকের শপথে অংশ নিতে বঙ্গভবনে গিয়েছিল, সেই ব্যক্তিরাই এখন সরকারের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে।”

পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগের লোকেরাই একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, “তখন আওয়ামী লীগের নেতারা একজন আরেকজনের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছে।”

তিনি বলেন, “বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বলেন, ‘বাংলাদেশে সব টেলিভিশন চ্যানেল এখন পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করছে।’ মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বছরের সেরা মিথ্যাচার। স্বাধীন দেশে মানুষ এখন পরাধীন। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।