বিএনপি কথাবার্তা বন্ধ করলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে: হানিফ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট ২০১৯ ১২:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৪ বার।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপিকে এ বিষয়ে কথা বন্ধ করতে বলেছেন।

বাংলাদেশে সব কিছু সমাধানের সক্ষমতা শেখ হাসিনার সরকারের রয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, একটি অনুরোধ করব মির্জা ফখরুল সাহেবকে, আপনাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং কথাবার্তা বন্ধ করুন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে। দয়া করে আপনারা উস্কানিটা বন্ধ রাখুন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি। খবর দেশ রুপান্তর 
মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এ বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের একটি চক্র এখনও তৎপর। এ দেশ যখন উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যায় তখন পদে পদে বাধাগ্রস্ত করে তারা।

এই সঙ্কট সমাধানে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়তে বিএনপির আহ্বান জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু জাতীয় সমস্যা এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনারা জাতির মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন, আপনাদের মুখের জাতি ঐক্যের কথা জনগণ শুনতে চায় না। আমরা বলতে চাই, জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।  স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি শক্তির সঙ্গে ঐক্যের কোনো প্রয়োজন নেই।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে হানিফ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যিনি বাঙালি জাতিকে বিভক্ত করেছেন। সেই জিয়াউর রহমানের বিচার না হওয়া পর্যন্ত, তার মুখোশ উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত জাতির বিভক্তি দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস করি না।

বিএনপিবিহীন দশম সংসদে কোরাম সঙ্কটে ১৬৪ কোটি টাকা অপচয়ের হিসাব দেওয়া টিআইবির সমালোচনাও করেন হানিফ।

তিনি বলেন, সেখানে (টিআইবির প্রতিবেদন) বলা হয়েছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। আপনারা বলছেন, ২৬ মিনিটে বিল পাস হয়েছে। সমস্যাটা কোথায়? দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে যদি কোনো বিল উত্থাপন হয়, সেটা সকলের সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলোচনার বিষয় যদি না থাকে, সবাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাহলে কিসের সমস্যা? আপনি বলতে পারেন, এই বিল পাস হওয়ার কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি? অন্য কোনো সমস্যার সৃষ্টি করেছে কি? বিল কীভাবে পাস হলো, কত সময়ে পাস হলো, সেটার সঙ্গে সংসদের (ব্যর্থ হওয়ার) যৌক্তিকতা নেই।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক।  আলোচনা করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।