বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী নিহত, আহত ৮

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০১৯ ০৬:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩১০ বার।

বগুড়ায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে সোহেল রানা (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি জয়পুরহাটের কালাই থানার পাঁচগ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে। এই ঘটনায় তার স্ত্রীসহ আরো ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের মানিকচক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর মধ্যে নিহত সোহেল ও তার স্ত্রীসহ ৩ জন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী ছিলেন।

আহতরা হলো- দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার চন্ডিপু্র গ্রামের আরাফাত হোসেন মুন্না (২৭) এবং তার  স্ত্রী তানিয়া (২৫), নিহত সোহেলের স্ত্রী ফারজানা (২৫), মাইক্রোবাসের চালক ক্ষেতলালের তেজেস চন্দ্র চৌধুরীর ছেলে পিজুস কুমার (৪০), ইয়াকুব আলীর ছেলে রায়হান (৩০), রায়হানের মেয়ে হাসি (৩০), কালাইয়ের পাঁচগ্রামের হিমু (৩০) ও সুজনের মেয়ে প্রাপ্তি (৭)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বেসরকারি নিবন্ধন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে তারা কেন্দ্রে যাচ্ছিলো। তাদের সিট পড়েছিলো বগুড়ার মানিকচক উচ্চ বিদ্যালয়ে। কেন্দ্র থেকে কয়েক’শ গজ আগে তাদের মাইক্রোবাসটি একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করে। তখন বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সাথে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শজিমেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। 

আহত আরাফাত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি 'পুণ্ড্রকথাকে' বলেন, 'আমি ব্যাবসা করি। আমার স্ত্রী তানিয়া এবং সোহেল ও তার স্ত্রী ফারজানার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ছিলো আজ। তাই তাদেরকে নিয়ে আমরা ৮-১০ জন একটি মাইক্রোবাসে করে কেন্দ্রে আসছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়া হলো না ওদের। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।' 

বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মাইক্রোবাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।