ছাত্রলীগের সাঃ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর উদ্যোগে দোকান পেল ধুনটের জাহিদুল !

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ. ধুনট (বগুড়া)
প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০১৯ ১১:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩৫ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সুলতানাহাটা গ্রামের পঙ্গু জাহিদুল ইসলামকে ব্যবসা করার জন্য একটি দোকান নির্মাণ করে দিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। শুক্রবার চিকাশী মোড় এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দোকানটির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

জানা যায়, সুলতানহাটা গ্রামের মৃত জাহান বক্সের ছেলে জাহিদুল ইসলাম পেশায় রিক্সা চালক। জীবিকার তাগিদে রাজধানী ঢাকায় প্রায় এক দশক রিক্সা চালিয়েছেন। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে রিক্সা চালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জাহিদুল ইসলাম। ওই সময় ঘটনাস্থলের পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তার আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় ওই হাসপাতালে প্রায় ৩ মাস চিকিৎসা নেন রিক্সা চালক জাহিদুল। কিন্তু চিকিৎসায় প্রাণ নিয়ে সুস্থ্য হলেও সে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। বর্তমানে সে ক্রাচে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে পারে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি পঙ্গুত্ববরন করায় জাহিদুলের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছিল। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকেই রিক্সা চালক জাহিদুলের সুখ-দুঃখের খোঁজ নিতেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী। নানা ভাবে সহযোগিতাও করে আসছিলেন জাহিদুলের পরিবারকে। এরপর তিনি জাহিদুলের জীবিকা নির্বাহের স্থায়ী ব্যবস্থার উদ্যোগ নেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গোলাম রব্বানীর আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় চিকাশী মোড় এলাকায় জাহিদুল ইসলামের জন্য একটি দোকান নির্মাণকরা হয়েছে। ওই দোকানের মালামালও কিনে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জাহিদুলের মুদির দোকানটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন। এসময় উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহসিন আলম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

পঙ্গু জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন রব্বানী ভাই। তার সার্বিক সহযোগিতার কারনে চিকিৎসা গ্রহন করার সুযোগ পেয়েছি। তাছাড়া চিকিৎসার বিপুল পরিমান অর্থ আমার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব ছিলো না। তিনি নিয়মিত খোঁজ খবর নেন এবং আমার পরিবারের জীবিকার জন্য একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। তাছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। 

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জাহিদুল ইসলামের খোঁজ খবর রাখছি। গোলাম রব্বানী ভাই এর পক্ষে তাকে দোকান ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও তাঁর সহযোগিতায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাশে থাকবে।