ভারতীয় ক্রিকেটের হাল ধরছেন অমিত শাহ!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অগাস্ট ২০১৯ ০৭:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৯ বার।

অরুণ জেটলির মৃত্যুতে পরিবর্তন আসছে ভারতীয় ক্রিকেটের রাজনীতিতে। কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে অনেক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের সৌরভ গাঙ্গুলি, অভিষেক ডালমিয়া পরিচালিত সিএবি'র নির্বাচনের দিনই ঠিক হয়েছে ১ অক্টোবর।

রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বহুল প্রতীক্ষিত ভোট হবে। চলতি বছরের মধ্যেই সব সংস্থার নির্বাচন হয়ে যাবে। পরিপ্রেক্ষিতে কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন ভারতীয়রা। সবার প্রশ্ন-জেটলি না থাকায় ক্রিকেট বিষয়ক বিজেপির ‘হাইকম্যান্ড’ কে হচ্ছেন?

চাউর হয়েছে, এবার প্রার্থিতা পেতে অমিত শাহের দ্বারস্থ হতে হবে বোর্ড নির্বাচনের প্রার্থীদের! বিসিসিআইয়ে আসতে চলেছেন তিনি! ভারতীয় বোর্ড ও এর পরিচালন নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিজেপি হাইকম্যান্ড। ক্রিকেট প্রশাসনের ভেতরে ‘অমিত শাহ’ নামও বেশ উচ্চারিত হচ্ছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে অপমান করেন দলের ম্যানেজার সুনীল সুব্রহ্মণ্যম। এজন্য তাকে ফিরিয়ে আনার নোটিশ প্রস্তুত করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তা থেকে বিরত থাকা হয়। এ নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সুনীল ক্ষমা চাওয়ায় শান্ত হন তিনি।

উইন্ডিজ থেকে ভারতীয় দল ফিরলে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় হবে জাঁকজমপূর্ণ অনুষ্ঠান।জেটলির নামে এ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে। স্ট্যান্ডের নামকরণ হবে বিরাট কোহলির নামে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন অমিত শাহ।

ক্রিকেটের সঙ্গে বিজেপি সভাপতির যোগসূত্র বেশ পুরনো। ২০০৯ সালে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেসময় সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন অমিত। এখন তার ছেলে জয় শাহ গুজরাট ক্রিকেট সংস্থার প্রধান। আহমেদাবাদে বিশাল স্টেডিয়াম বানিয়েছেন তারা। ভারতের বৃহত্তম তো বটেই, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামগুলোর একটি।

তবুও গেল কয়েক বছর প্রকাশ্যে ক্রিকেট অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি অমিতকে। ফিরোজ শাহ কোটলা সেদিক থেকে চমক হতে চলেছে। অনেকে বলছেন, এ দিয়েই ক্রিকেট রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন তিনি। ফলে এটি আনুষ্ঠানিক মঞ্চ হয়ে থাকতে চলেছে।

দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ছিলেন জেটলি ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ। সেখানেও ঢুকে পড়তে পারেন অমিত। সঙ্গত কারণে তার ‘স্ট্যান্স’ কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।

গেল কয়েক বছর ধরে দেশের ক্রিকেট প্রশাসন চালাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিওএ। এতে বোর্ড কর্মকর্তাদের ক্ষমতা অনেকটা খর্ব হয়েছে। তবুও কয়েকজন খুবই সক্রিয় আছেন। তাদের নেতৃত্বে দিয়েছেন এন শ্রীনিবাসন। ফলে ফের বোর্ডে তার আসা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু অনেকে বলছেন, চলমান রাজনৈতিক স্রোত অব্যাহত থাকলে শ্রীনি নয়, অমিত শাহ-ই ঢুকবেন।