প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারিতে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৪৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬৭ বার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আবারও পেছাচ্ছে। সময় পেছানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর দৈনিক শিক্ষা


চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ কারণে পরীক্ষার আয়োজনে হল সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। সবদিক বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা এমন তথ্য জানান।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম ড. মনজুর কাদির বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে। কিন্তু অক্টোবরে হল সংকট রয়েছে। আবার নভেম্বরে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এসব বিবেচনায় আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের যৌক্তিক সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছি। আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে ওই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এবারের পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়া হবে না। রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর আবেদনের কারণে জেলায় জেলায় কয়েক ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে। হল পাওয়া-সাপেক্ষে ৩-৪টি করে জেলার পরীক্ষা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ওএমআর ফরমসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কেনাকাটায় সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুসরণ করতে গিয়ে গতিও একটু কমে গেছে।


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১-৩০ আগস্ট অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। মোট ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ জন আবেদন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। সেই হিসাবে এবার প্রার্থী দ্বিগুণেরও বেশি।


ডিপিই কর্মকর্তারা আরও জানান, সর্বশেষ নিয়োগে সারাদেশে তিন হাজার ৬৬২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। কিন্তু উপজেলা-জেলা পর্যায়ে এতো কেন্দ্র পাওয়া কঠিন। এ কারণে উপজেলা সদরের কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্র নির্বাচনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসকরা কেন্দ্র ঠিক করে দিলে দুই বা ততোধিক জেলায় একসঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে।
ইতোমধ্যে অনেক জেলায় কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখ করে ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ বা তার অধিক সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারে। ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার পর ২০ নম্বরের ভাইভা নেয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, আগে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দিত ডিপিই। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আরোপসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রণয়ন হবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে।