মান্নান আকন্দকে একহাত নিলেন আলহাজ শেখ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৩৮ বার।

বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ মেশিনারীজ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বামমা) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ শেখ সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলহাজ শেখ অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল মান্নান আকন্দ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয় এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে ৪টি মামলাও করা হয়। যা এখনও চলমান। শুধু তাই নয় এক সময় তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মমতাজ উদ্দিনকেও ‘সন্ত্রাসীদের গডফাদার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এছাড়া তিনি ফেসবুক লাইভে গিয়ে বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। এমনকি বগুড়া পৌরসভার মেয়রকে মারধর করাসহ তার চেয়ারে বসে মেয়র সেজে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তার নির্দেশ মানতে বাধ্য করতে চেষ্টা চালিয়েছেন।


আলহাজ শেখ বলেন, আব্দুল মান্নান আকন্দ বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনকে নিয়ে তলবি সভার নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ শেখ বলেন, গত ২১ শে আগস্ট শহরের চারমাথায়  শোকের মাসের উপর এক আলোচনা সভায়  আমার এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেন যা আমাদের সম্মানহানি করেছে।

  
সংবাদ সম্মেলনে মান্নান আকন্দের দেয়া বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ডিং, পেপার কাটিং এবং ফেসবুক প্রোফাইল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে উত্থাপন করেন।

 
সংবাদ  সম্মেলনে আনা অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে আব্দুল মান্নান আকন্দ পুণ্ড্রকথাকে বলেন, ‘আমি যেভাবে সকল তথ্য ও প্রমাণসহ কোন কিছু উত্থাপন করি তা আলহাজ শেখ করতে পারেনি।‘