রিফাত হত্যায় ৬ কিশোর সংশোধনাগারে, পরবর্তী শুনানি ১৮ সেপ্টেম্বর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮০ বার।

বরগুনায় আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় ৬ কিশোরকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, ‘আজ এ মামলার ধার্য তারিখ থাকায় রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালত তাদের যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরা হলেন- রিশান ফরাজী, তানভীর, চন্দন, অলি, নাজমুল ও শ্রাবণ। আর বাকি অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিফাত হত্যা মামলার অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ ও সাইমুনের আইনজীবী মোস্তফা কাদের বলেন, এ মামলায় অভিযুক্ত চন্দন ও টিকটক হৃদয়ের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এই আদালতে মামলার মূল নথি না থাকায় কোনো আদেশ দেননি বিচারক। এছাড়া অভিযুক্ত শ্রাবণের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালতে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার আদেশ দেন।

এর আগে গত রবিবার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের ফেরাতে চেষ্টা করেও তাদের দমাতে পারেননি। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।