গাবতলীর সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬৪ বার।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ২ নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান অধ্যাপক মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্মস্থল কলেজ থেকে ও একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা উত্তোলন,কর্মসৃজন, গরীবদের নমে ঘর করে দেয়া ও ড্রেন নির্মান ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় বেঞ্চ প্রদানের অন্তরালে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের তেলিহাটা গ্রামের জহুরুল ইসলাম নামে এক বাসিন্দা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১ আগষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক বরাবর করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিদুল ইসলাম সৈয়দ আহম্মদ কলেজে চাকরি করেন। তিনি সেখান থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতার টাকা এবং কলেজের বেতন-ভাতার টাকা নিয়মিতভাবে একই সঙ্গে উত্তোলন করে আসছেন। যা বিধিবহিভুত। এছাড়া চেয়ারম্যান কর্মসূজন কর্মসূচীর আওতায় রাস্তায় করিমপাড়া গ্রামের রাস্তায় মাটি কাটার নামে প্রকল্প দেখিয়ে সেই টাকায় করিমপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে মাটিকেটে বাড়ী উচু করে নিয়েছেন। তার বাড়ীর সামনে বিনা প্রয়োজনে একটি কালভার্ট নির্মান করে মানুষ ও জানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করেছেন। ওই কালভার্টের নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখানো হয় অথচ কালভার্টে সবোচ্চ ব্যয় হয় ৫০ হাজার টাকা। বাদ বাকী টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন। গত অর্থ বছরে তিনি এলাকায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ২০ জোড়া করে বেঞ্চ দেয়ার নামে এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাত্র ৫ জোড়া করে বেঞ্চ দিয়ে এ খাতের সিংহভাগ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে। চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়ীতে ৫টি সোলার স্থাপন করেছেন। অথচ আশপাশের গরীব মানুষ বিদ্যৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। সরকারের গরীব দু:খীদের জন্য ঘর করে দেয়ার প্রকল্পের একটি ঘর চেয়ারম্যান নিজের বাড়ীর ভিতর করে নিয়েছেন আরেকটি ঘর গ্রামের এক গরীব মানুষের নামে বরাদ্দ দিয়ে তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন।
 এ ধরনের একাধিক অভিযোগের পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক সুফিয়া নাজিম বিষয়টি আমলে নিয়ে ৫ আগষ্ট এক আদেশের মাধ্যমে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ওয়ারেস আনসারী বলেন,আমি ২ বছরের প্রশিক্ষণের জন্য ছুটি নিয়েছি নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করবেন।