পর্দার কাছে হার মেনেছে বালিশকাণ্ড: মির্জা ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৯ বার।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে দিয়েছে। তারা চারদিকে সব লুট করছে। ফরিদপুরের হাসপাতালে একটি পর্দার দাম দেখানো হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। বালিশ কেলেঙ্কারিও তো পর্দার কাছে হেরে গেছে। এভাবে চতুর্দিকে শুধু লুটের ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার।' খবর সমকাল অনলাইন 

বিএনপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে  শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সমর্থকরা এমনভাবে লুট করছে যে, দেশ ফোকলা হতে চলেছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা চুরি হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি আদর্শ অর্থনীতি। কিন্তু বিশ্বের কাছে এটা অতি দ্রুত প্রমাণিত হয়েছে যে, এটা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।

সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তিনি থাকলে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হতো না। ব্যাঙের ছাতার মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ব্যাংক গজিয়ে উঠত না। অর্থনীতি ধ্বংস করতে দিতেন না তিনি। সাইফুর রহমান দলের লোকদের লাভের জন্য দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেননি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, হল-মার্ককে আবার ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে ব্যাংকের অনুমতি দেওয়ার জন্য খুব চাপ ছিল। কিন্তু সাইফুর রহমান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেননি। এতে দলের লোকেরাও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। অনেক ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সাইফুর রহমান বলেছিলেন, তিনি এখানে লুটেরা অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না। আজ ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় সম্পদ যাতে গুটিকয়েকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়, যাতে তা জনগণের কাছে পৌঁছায় অর্থাৎ সম্পদের সুষম বণ্টনের জন্য সাইফুর রহমান সবসময় সংগ্রাম করতেন।

বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী ও এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সাইফুর রহমানের ছেলে সাবেক সাংসদ এম নাসের রহমান বক্তব্য দেন।