সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার দাবি

শেরপুরে মহাসড়ক নির্মাণের জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৩১ বার।

উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জরিপ কাজে নিয়োজিত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ভুক্তভোগী, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এই অভিযোগ করেন।


এতে লিখিত বক্তৃতায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মতিন সিদ্দিকী বলেন, উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। সাউথ এশিয়া সাবরিজওনাল ইকোনিক কো-অপারেশ সাসেক-২ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত জাতীয় এই মহাসড়কটি নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু এই জমি অধিগ্রহণের জরিপ কাজে নিয়োজিত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।


তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছয় লেনে সড়ক নির্মাণের জন্য শেরপুর পৌরশহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ৭১১,৭২৮ ও ১০৯ দাগে যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে তাতে ভূমি অধিগ্রহণ ও জরিপ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা একটি মহলের স্বার্থ রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এবং যোগসাজস করে সড়কের এক পাশ থেকে জমি অধিগ্রহণ করছেন তারা। এক্ষেত্রে সরকারি এই মহাসড়কের নকশাও মানা হচ্ছে না। সড়কটির উভয়পাশে জমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে যে অংশে সবচেয়ে বেশি স্থাপনা, বাড়িঘর, মার্কেট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে শুধু সেই পাশে জমি অধিগ্রহণের পাঁয়তারা করছেন ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তারা। এতে করে তারাই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। পাশাপাশি ক্ষতিপুরণ দিতে গিয়ে সরকারেরও অধিক অর্থ ব্যয় হবে। এরপরও স্বার্থন্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও (ডিসি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।


জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিকার চেয়ে আ.লীগ নেতা আব্দুল মতিন আরও বলেন, মহাসড়কের সরকারি জায়গা ৯৯ফিট বের করার পর তা ঠিক রেখে উভয় পাশ থেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করা হোক। এতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা যারা সার্ভে করতে আসছেন, তারা অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মহাসড়কের পূর্বপাশের জায়গা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পশ্চিম পাশে মাপ দিয়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য তাদের এককভাবে নোটিশ দিয়েছেন। যা মেনে নেয়া যায় না। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী না হলে নানা কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি আদালতের দাঁড়স্থ হবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান এই আ.লীগ নেতা।

এসময় স্থানীয় পার্কমাঠ আহলে হাদীস জামে মসজিদ কমিটির নেতা আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন লাভলু, ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, তারিকুল ইমলাম মিঠুল, আব্দুল মতিন, নুরুজ্জামান দোলা, আবু রায়হান, আনিছুর রহমান, আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।