কে বাঁচাবে বাংলাদেশকে?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৪ বার।

জয়ের জন্য আগের দিন ৭০ ভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছিলেন আফগানিস্তান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। রবিবার চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে একই প্রশ্ন করা হলে কী বলবে আফগানরা? নিশ্চয়ই শতভাগ আশার কথাই বললেন।

সিরিজের একমাত্র টেস্টে এখন যে হাল, তাতে বাংলাদেশকে পরাজয়ের হাত থেকে কে বাঁচাবে এই প্রশ্ন রাখাই যায়। বৃষ্টি নাকি সাকিব আল হাসান বা সৌম্য সরকারদের একজন?

ইব্রাহিম জাদরান আগের দিন বৃষ্টি নিয়ে দুর্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিন জুড়ে এদিন বৃষ্টি বার দুয়েক বাগড়া দিলেও যতক্ষণ খেলা হলো, তাতে বাংলাদেশ শুধু ম্যাচ থেকে দূরেই চলে গেছে।

বৃষ্টির কারণে এদিন খেলা শুরু হয় দুই ঘণ্টা দেরিতে। দ্রুতই আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের বাকি দুই উইকেট তুলে নিতে পারলেও বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৮ রান। ঘরের মাঠে যেখানে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০১ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। দুরূহ সেই লক্ষ্যের পেছনে ছোটে ১৩৬ রান তুললেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। দিনের খেলা আরো ১২.৪ ওভার বাকি থাকতেই বৃষ্টি থামিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত পরে আর খেলা শুরু হতে পারেনি।

এখন সোমবার শেষ দিনে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬২ রান চাই বাংলাদেশের। কিন্তু রশিদ খান, জহির খানদের স্পিনের মুখে কতক্ষণ লড়াই করতে পারবে বাংলাদেশ সেটিই তো প্রশ্ন। বৃষ্টি যদি না সারা দিনের খেলা পণ্ড না করে তবে ম্যাচে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে এটা বলাই যায়। ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করা সাকিব বা এখনো রানের খাতা খুলতে না পারা সৌম্য কি পারবেন মিরাকল কিছু করতে?

ক্রিকেটকে কখনো কখনো জীবনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। সেই কথার প্রেক্ষিতেই বলা যায় মানুষ বেঁচে থাকে আশায়। কিন্তু চতুর্থ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলায় এমন কিছু ফুটে ওঠেনি যা নিয়ে অন্তত অসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্ন দেখা যায়, বা আশার কিছু পাওয়া যায়।

রেকর্ড বলছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৮ সালে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। আর টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জিততে পেরেছিল। সেখানে ৩৯৮ রান তো অসম্ভব এক স্বপ্ন।

তবে চতুর্থ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৮ সালে ৪১৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। যা নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। যদিও সেবার জিততে পারেনি টাইগাররা। তবে সেখান থেকে ইতিবাচক কিছু তো নেওয়া যায়ই।

কিন্তু সেবার সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। ফিফটি পেয়েছিলেন ‍মুশফিকুর রহিম। এখন পর্যন্ত আফগানদের বিপক্ষে সেরকম কিছুর দেখা মেলেনি।

৬ জন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যান বলতে এখন আছেন কেবলই সাকিব আর সৌম্য। স্বপ্ন দেখতেই এখন সাহস দরকার আসলে।

এদিন ব্যাটিংয়ে যা একটু সাহস দেখাতে পেরেছিলেন সাদমান ইসলাম। আফগান বোলারদের পঞ্চম শিকার হয়ে ফেরার আগে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। তার আগে ওপেনার লিটন দাস (৯) ফেরেন দ্রুতই। তিন নম্বরে ওঠে এসে মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রানে ফেরেন। মুশফিক ২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। মুমিনুল হক ফেরেন মাত্র ৩ রানে। আর মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে।

রশিদ সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন জহির খান। মোহাম্মদ নবী নেন ১ উইকেট।