কাশ্মীরে গণহত্যার আশঙ্কায় জাতিসংঘকে সতর্ক করল পাকিস্তান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬১ বার।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে গণহত্যার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে ভারতের অবৈধ সামরিক দখলদারিত্বে সেখানে গণহত্যা আসন্ন হয়ে উঠছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এ আশঙ্কার কথা জানান। খবর জিয়ো নিউজ উর্দূর।

পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৬ সপ্তাহ যাবৎ কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ভারত সরকার। সেখানকার স্বাধীনতাকামী নেতাদের আটক করে রেখেছে তারা। মূলত ওই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করতে চায় ভারত। লাগাতার কারফিউর কারণে উপত্যকাটির জনগণ খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছে।

কাশ্মীরি জনগণের দূরাবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জম্মু- কাশ্মীরের প্রতিটি শহর, পর্বত, সমতল কিংবা উপত্যকার আকাশে-বাতাসে আজ হাহাকার আর বিষাদেরই প্রতিধ্বনি। সেখানকার পরিস্থিতি রুয়ান্ডা, স্রেব্রেনিৎসা (গণহত্যা), রোহিঙ্গা, কিংবা গুজরাটের সেই ভয়াবহ দাঙ্গার মত ঘটনার আশঙ্কাই জাগিয়ে তোলে।

পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ সবচেয়ে খারাপ পরিণতিটাই আঁচ করতে পারছে। গণহত্যা শব্দটা উচ্চারণ করতে আমি শিউরে উঠি, কিন্তু আমাকে একথাটাই বলতে হচ্ছে। অধিকৃত ওই অঞ্চলের জনগণ একটি জাতি, বর্ণ, জাতিগত এবং ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে এক খুনি, বিদ্বেষী এবং অসহিষ্ণু শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাদের জানমাল গুরুতর হুমকির মুখে আছে।

এদিকে জাতিসংঘে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের এমন দাবিকে ‘মনগড়া গল্প’ বলে আখ্যায়িত করেছে ভারত।

কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনার মুখে ইসলামাবাদের দাবিকে বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করে দিল্লি।

মানবাধিকার কাউন্সিলে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক বিজয় ঠাকুর সিংহ দাবি করেন, কাশ্মীর ইস্যু একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।