পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে দেবেন না মমতা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৬ বার।

পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে দেবেন না তৃণমূলের নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজিপিকে আগুন নিয়ে না খেলার হুমকি দিয়ে মমতা বলেন, রাজ্যে কখনও এনআরসি চালু করতে দেয়া হবে না। বিজেপিকে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ বা এনআরসির রাজ্যের একজন নাগরিককেও স্পর্শ করে দেখুন বিজেপি নেতারা।

বৃহস্পতিবার এনআরসি বিরোধী একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনই বাংলায় এনআরসিকে চালু করার অনুমতি দেব না। আমরা কোনো মতেই ধর্মীয় ও বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে দেব না। আসামের এনআরসিকেও আমরা সমর্থন করিনি। সেখানে বিজেপি পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আসামের জনগণকে চুপ করিয়ে রাখতে পেরেছে তবে এভাবে বাংলাকে চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না তারা। এর আগে আসামে প্রয়োগ হওয়া এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার সিঁথি থেকে শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড়ের ক্রসিং পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

এর আগেও আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকার বিরোধিতায় সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ১৯ লাখ মানুষ। এনআরসির নাম করে বাঙালিদের আসাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলে জোড়াফুল শিবিরের দাবি, তালিকার বাইরে থাকা ১৯ লাখ মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই।

১৯ লাখ মানুষের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকার বাইরে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই টুইটে তিনি এআরসিকে ব্যর্থ নাটকীয়তা বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, অন্য কোনো অভিসন্ধি নিয়ে এ পদক্ষেপটি করেছে বিজেপি সরকার।

এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা ভেবে, বাংলাদেশি মুসলিমদের তাড়াতে এ রাজ্যেও চালু করা হবে এনআরসি।

তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর বিজেপি। তিনি এও অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক ধরে রাখতে, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি মুসলিমদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।