বান্ধবী নিয়ে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মারামারি, আহত ৭

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৮ বার।

আবাসিক হলের গেস্টরুমে বান্ধবীকে নিয়ে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারামারিতে সাত কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হলে এ ঘটনা ঘটে।

দুই দফা মারধরে একজন কপালে জখম হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার কপালে দুটি সেলাই লেগেছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহতরা হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের অমিত হাসান লিমন, দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ, পারভেজ রনি ও জসিম, লোক প্রশাসন বিভাগের সোহেল এবং ইতিহাস বিভাগের রাজিব।

আহতরা সবাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী।

রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত ও কামরুল তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগকর্মী কামরুলসহ দুজন বসেছিলেন। এ সময় অমিত হাসান লিমন তার তিন বান্ধবীকে নিয়ে গেস্টরুমে যান। তিনি  কামরুল ও তার বন্ধুকে গেস্টরুম থেকে চলে যেতে বলায় কামরুল ক্ষিপ্ত হন এবং তুই-তোকারি শুরু করে।

লিমন প্রতিবাদ করায় কামরুল ও তার বন্ধু মিলে লিমনকে মারধর করেন। এতে লিমনের কপাল কেটে যায়। পরে লিমনকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। এর পরপরই লিমন বিষয়টি ফোন বাকিকে জানায়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাকির অনুসারী প্রায় অর্ধশত কর্মী মাদার বখশ্ হলে গিয়ে কামরুলের রুমের দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং রুমের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে বর্তমান কমিটির দুই শতাধিক নেতাকর্মী হলের সামনে এসে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে সহসভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত ও কামরুল বাকির অনুসারী পাঁচজনকে মারধর করেন। এতে করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সভাপতি- সম্পাদক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে লিমনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লিমনই কামরুলকে মারধর করেন। পরবর্তীতে তারা কামরুলের রুমে গিয়েও ভাঙচুর করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র মাদার বখশ্ হলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।’