ছিনতাই মামলায় এএসআইসহ ২ জনের কারাদণ্ড

রাজধানীর উত্তরায় ১৮ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার (১৫ লক্ষাধিক টাকা) ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দু'জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বৃহস্পতিবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাছুম বিল্লাহ। এদের মধ্যে আলমগীর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই। রায়ের পর আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নড়াইলের নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে ইলিয়াস উল্লেখ করেন, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল দুপুরে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্রো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেট কার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। একপর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধা হয়। এরপর তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে উপস্থিত জনতা গাড়ি থামিয়ে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে। অপর চারজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই ঘটনায় জড়িত এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের নাম জানান। পুলিশ পরে এএসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। একই বছরের ১৯ জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১৬ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি আজাদ রহমান।