নওগাঁয় পর্নগ্রাফি আইনে প্রাইভেট শিক্ষক মোশারফ হোসেন গ্রেফতার

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬১ বার।

নওগাঁর মহাদেবপুরে স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে তার সাথে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তোলা অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে মোশারফ হোসেন সজিব নামে এক প্রাইভেট শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং বাড়ি থেকে কম্পিউটার জব্দ করেছে পুলিশ। বুধাবার রাতে থানার ওসি তদন্ত সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার খাজুর গ্রামের নিচপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
 বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রতন রায় জানিয়েছেন। উপজেলা সদরের জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তারের মা রুমি আক্তার বাদী হয়ে থানায মামলা করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হযরানীর অভিযোগ উত্থাপন করে একই শিক্ষা প্রতিষ্টানের দুই শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও সোমাইয়া আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় এব্যাপারে মহাদেবপুর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আছমা খাতুন ওই শিক্ষককে ডেকে সর্তক করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অবিযোগের ভিত্তিতে গত ১৭ তারিখে দৈনিক সমকাল অনলাইনসহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাসহ বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সাদিয়া আক্তারের মা বাদী হয়ে পর্ন গ্রাফি আইনে এ মামলা দায়ের করেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান। তিনি জানান প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে সাদিয়ার সঙ্গে অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষক মোশারফ হোসেন বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তোলা অশ্লীল ছবি ধারন করে এবং তার কম্পিউটারে রাখে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানায়। জানাগেছে শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন সজিব দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে সাদিয়া এবং সুমাইয়া আক্তারসহ ২০/২২ জন ছাত্র ছাত্রীকে ইংরেজীর শিক্ষক হিসেবে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছে। এ সময়ের মধ্যে অভিযোগকারী ওইসব ছাত্রীসহ ১০/১২ জন ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় একাকি পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই শিক্ষক একাধিক ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্ঠা করে। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কুমু নাহার শিক্ষক মোশারফ হোসেনের এধরনে আচরনে বেশ কয়েকজন ছাত্রী তার কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন। অভিযোগে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলুক শাস্তি দাবি করেছে ওই শিক্ষার্থীরা।