আড়িপাতা ঠেকাতে ট্রাম্পকে হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহারে পরামর্শ চীনের!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২০ বার।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে আড়িপাতে চীন ও রাশিয়া। এই অভিযোগের বিদ্রূপাত্মক জবাব দিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যদি মনে করেন তার আইফোন যথেষ্ঠ নিরাপদ নয় তাহলে তার উচিত হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহার শুরু করা! তাও যদি করতে না চান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস ট্রাম্পের ফোনে আড়িপাতার ঘটনা ঘটার দাবি করলেও ট্রাম্প নিজে এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সমালোচনা করেছেন। 

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যক্তিগত আইফোন ব্যবহার করেন। আর ওই ‘অনিরাপদ’ আইফফোনে কথা বলার সময় ফোন কলে আড়িপাতে চীন ও রাশিয়ার গোয়েন্দারা। ট্রাম্পের সহযোগীরা তাকে বারবার ব্যক্তিগত আইফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করলেও ট্রাম্প অভ্যাস ছাড়তে পারেননি।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং মন্তব্য করেছেন, ‘এই প্রতিবেদন পড়ে আমার মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অস্কার পাওয়ার মতো স্ক্রিপ্ট লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রতিবেদনই প্রমাণ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস ভুয়া খবর প্রকাশ করে।’ তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি দুইটি পরামর্শ দিয়েছেন। একটি হচ্ছে, আইফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহার করা। আর তা যদি তারা করতে না চান, তাহলে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে বাকি বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া।

ট্রাম্প টুইটারে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের তথ্যকে অসত্য আখ্যায়িত করে জানিয়েছেন, তিনি সবসময় সরকারি টেলিফোনই ব্যবহার করেন। সরকারি যে মোবাইল ফোন রয়েছে তা ‘কদাচিৎ’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে লিখেছে, ট্রাম্প যে টুইট করেন তা তো আইফোন থেকেই করেন!

যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ে, জেডটিইর মতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের ওপর নজরদারির অভিযোগ এনেছে। এ নিয়ে জেডটিইকে অনেক বড় অংকের জরিমানাও দিতে হয়েছে। চীন এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।