বগুড়ার শেরপুরে অনশনরত সেই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছে প্রেমিক

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৫ বার।

বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের দাবিতে অনশনরত সেই কলেজছাত্রীকে অবশেষে বিয়ে করেছেন প্রেমিক সবুজ মিয়া। শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শেখর গ্রামস্থ প্রেমিকে বাড়িতে সামাজিকভাবে এক লাখ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে এই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শিখর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সবুজ মিয়ার সঙ্গে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দাপাড়া গ্রামের বিক্রম শেখের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্রধরে গত ০৯ সেপ্টেম্বর প্রেমিক সবুজ সিরাজগঞ্জে যান ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।

এমনকি প্রেমিকা ওই ছাত্রীকে সারাদিন নিয়ে ঘোরাফেরাও করেন প্রেমিক সবুজ। কিন্তু প্রেমিকাকে পছন্দ না হওয়ায় বাড়ি আসার পর সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রেমিক সবুজ। তবে প্রেমিকের ঠিকানা সংগ্রহ করে ওই কলেজছাত্রী গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রেমিকের বাড়ি শেরপুর উপজেলার শেখর গ্রামে আসেন। এসময় কৌশলে তাকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় সে। তারপর থেকে বিয়ের দাবিতে সবুজের বাড়িতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অনশন শুরু করে প্রেমিকা ওই কলেজছাত্রী। এমনকি সবুজ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করারও হুমকি দেয় ওই তরুণী।

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ প্রশাসনেও তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি প্রেমিক সবুজকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। এ অবস্থায় প্রেমিক-প্রেমিকার উভয় পরিবারের লোকজন শনিবার মধ্যরাতে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। পাশাপাশি সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয় বলে জানান তারা।

অনশনরত ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, 'প্রায় দুই বছর আট মাস আগে সবুজের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সবুজ। কিন্তু বিয়েতে তালবাহানা করতে থাকলে তিনি অনশনে যান। প্রায় এক সপ্তাহ যাবত অনশনরত অবস্থায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো বলে জানান প্রেমিকা ওই কলেজ ছাত্রী।'

শেরপুর থানারওসি হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে মেয়ে পক্ষ কোন অভিযোগ না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে শুনেছি তাদের মধ্যে সমঝোতা ও বিয়ে হয়ে গেছে।