ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের মারধর, মোবাইল ছিনতাই

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৫ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিন সাংবাদিককে মারধর ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- স্টুডেন্ট জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, বিজনেস বাংলাদেশের আফসার মুন্না ও প্রতিদিনের সংবাদের রাহাতুল ইসলাম রাফি।

আনিছুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১২টার দিকে হাকিম চত্বরে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতির নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছিল। এ সময় আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাকে এসে ঘিরে ধরে। এ সময় সঞ্জিত আমার সামনে আসেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে তিনি থাপ্পড় দেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও আমাকে মারধর করেছে। এ সময় আমার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় তারা।’

আনিছুর রহমান বলেন, ‘সূর্যসেন হলের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান, সদস্য সাব্বির হাসান শোভন, সভাপতি প্রার্থী নাহিদ হাসান আমাকে মারধর করে।’

আরেক ভুক্তভোগী সাংবাদিক আফসার মুন্না জানান, ‘আমি ও আমার এক বন্ধু টিএসসিতে বসেছিলাম। মেট্রোরেলের কাছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করছিল। আমি ছবি তুলতে গেলে এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন মাহমুদ আপেল, ঢাবি শাখার উপ-প্রচার সম্পাদক মহসিন তালুকদার, সূর্যসেন হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শপু আমাকে মারধর করে।’

এসময় প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাহাতুল ইসলাম রাফিকেও মারধর করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি টিএসসিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার ওপর হামলা করে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের মারধর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’