টাকা হাতিয়ে নিতে বগুড়ায় এনজিও কর্মীকে খুনঃ একই পরিবারের গ্রেফতার ৪

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৩৪ বার।

“উদ্দীপন” এনজিও বগুড়ার কাহালু শাখার কর্মী এস এম শাহরিয়ার (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজু আহম্মেদ সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কাহালু থানা পুলিশ। হত্যার পর তারা বরিশাল পালিয়ে গেলে পুলিশ সেখান থেকেই রোববার গ্রেফতার করে। কিস্তির টাকা হাতিয়ে নিতেই তাকে খুন করে। এ খুনে পরিবারের সবাই জড়িত ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মামলার প্রধান আসামী রাজু আহম্মেদ (২৫), রাজুর বাবা আমজাদ হোসেন ওসমান (৫২), মা মর্জিনা বেগম (৪৫) ও রাজুর স্ত্রী নাজমা বেগম (২৩)। এদের সকলের বাড়ী বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়ার বানদীঘি গ্রামে। এরা কাহালু উপজেলার দামাই গ্রামের জনৈক মিলু হাজীর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।  

গত ১৭ সেপ্টেম্বর এনজিও কর্মী শাহরিয়ার মোটর সাইকেল নিয়ে কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের শিকড় গ্রামে কিস্তি তুলে দরগাহাট বাজারের দিকে ফিরে আসার পথে মোটর সাইকেল সহ নিখোঁজ হন। দুপুর ২টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় উদ্দীপন এনজিও কাহালু শাখার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম ওনদিন রাতেই কাহালু থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করেন। উক্ত ডায়েরীর পরিপ্রেক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তথ্যানুন্ধান এবং অভিযান শুরু করে। পুলিশ ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাহালুর দামাই গ্রামের মিলু হাজীর বাড়ী হতে এনজিও কর্মী শাহরিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহরিয়ার স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কাহালু থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সোমবার বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) আহম্মেদ রাজিউর রহমান প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদেরকে জানান, এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মামলার প্রধান আসামী রাজু আহম্মেদ সহ অন্যান্য আসামীরা টাকা ও মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য এনজিও কর্মী শাহরিয়ারকে টার্গেট করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় দিকে মামলার প্রধান আসামী রাজু তার ভাড়া বাড়ীতে টাকা ও মোটর সাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কৌশলী এনজিও কর্মী শাহরিয়ারকে ডেকে নেন। আসামীরা শাহরিয়ারকে মাথায় ভারী শীল দ্বারা একাধিকবার আঘাত করিয়া মাথা থেতলিয়া ও পরে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যুর পর শাহরিয়ারের ব্যাগে থাকা ৪৩ হাজার টাকা ও মোটর সাইকেল হাতিয়ে নেয়। পরে আসামীরা শাহরিয়ার লাশ ঘরের ভিতরে বিভিন্ন লাশের শীরওে বস্তা পেচিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্যাকিং কওে বরিশালের মুলাদী এলাকার প্রধান আসামী রাজুর আত্মীয়ের বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যাকান্ডের দোষ স্বীকার করেছেন। সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর এক আসামীকে গ্রেফতার অভিযান চলছে।