ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ৩৬ পরিবার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

ঝালকাঠির রাজাপুরে জালজালিয়াতির মাধ্যমে নিরীহ মানুষের জমি দখলের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলসহ তার বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা সদরের ৩৬টি পরিবার। খবর যুগান্তর অনলাইন 

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্রে ৩৬ পরিবারের লোকজন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

আহসান হাবিব রুবেল উপজেলা সদরের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র। 

সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ পরিবারের পক্ষে সিদ্দিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি আহসান হাবিব রুবেল দলীয় পদ ব্যবহার করে তার বাবা ভূমিদস্যু তোফাজ্জেল হোসেনের জমিজমার জাল দলিল তৈরিতে সহায়তা করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনৈতিক কাজে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের বিভিন্নরকম হয়রানিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। 

তিনি বলেন, স্যাটেলমেন্ট কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এই বাপ-বেটার অনৈতিক কাজে অপারগতা প্রকাশ করায় বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হন। পরে বাধ্য হয়ে ওই কর্মকর্তা ৪৩টি মামলার কার্যক্রম বরিশাল জোনাল স্যাটেলমেন্ট অফিসে প্রেরণ করেন। যার বাদী রুবেলের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তোফাজ্জেল হোসেনকে ভূয়া মেজর আখ্যা দিয়ে তারা আরও জানায়, রুবেল তার বাবার সব অপকর্মে উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে থাকেন। নেতাকর্মীরা অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের পদ হারানোর ভয় অথবা নতুন পদ দেয়ার লোভ দেখানো হয়। এভাবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে বাবার ভূমি দস্যুতা ও জমি দখলে সহায়তা করে থাকে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জাল দলিল করে নিরীহ মানুষের জমি দখল করে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে ওই এলাকার নিরীহ মানুষ আজ সর্বস্বান্ত প্রায়। পিতা-পুত্রের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি থানায় পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে ডায়েরি বা মামলা দিতে আসলে তা পুলিশ গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, জাল দলিলের মাধ্যমে যে সব জমি দখল করেছিল তা ইতিমধ্যে সব ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি, জাল-জালিয়াতিসহ একাদিক মামলা রয়েছে। যার ফলে একাধিকবার তারা হাজত বাস করে।

এমতাবস্থায় পিতা-পুত্রের জাল-লিয়াতির ও চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদন্তসাপেক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ৩৬ পরিবারের লোকজন।