বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হিক্কার প্রভাব পড়বে কী?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

আরব সাগরে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। আগামী ছয় ঘণ্টায় ওমানে আঘাত হানার পরদিন ঘূর্ণিঝড় হিক্কা আছড়ে পড়তে পারে ভারতের গুজরাট উপকূলে। গুজরাট, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া দফতরের এক বিশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। তবে ওমানে আঘাত হানার পর শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। প্রতিবেশি ভারতে আঘাত হানলে বাংলাদেশের সীমান্ত উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় হিক্কার প্রভাবে ঝড়ো-হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আরব সাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সমুদ্র মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের তীরে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ওপর দু’দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ওমানের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কার। দেশটিতে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ওমানের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ওমান বলছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হিক্কার কারণে ওমানে ইতোমধ্যে তীব্র বাতাস ও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে আটকে পড়া সাত সদস্যের একটি পরিবারকে উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।

ওমানের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিক্কার প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ে আটকা পড়া সাত সদস্যের একটি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তারা নিরাপদে আছেন। প্রবল শক্তিশালী ঝড় হিক্কার কারণে এখন পর্যন্ত দেশে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি।

বর্তমানে পাকিস্তানের করাচি থেকে ৮২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম এবং ওমানের মাসিরাহ শহর থেকে ২২০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ‘হিক্কা’। আগামী ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারাতে পারে বলে ওমানের আবহাওয়া দফতরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

এদিকে, ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় হিক্কার প্রভাবে ৬০ থেকে ১০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই উত্তর পাঞ্জাব থেকে মধ্যরাজস্থান হয়ে মধ্য গুজরাট পর্যন্ত পূবালি মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে।