বগুড়া সঃ পলিটেকনিকের শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩১৬ বার।

বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মোতাহার হোসেন নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কসহ একাধিক বিয়ের অভিযোগ করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিবলী আক্তার। রোববার শহরের বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি তার স্বামীর নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছে তার স্বামীকে চাকরীচ্যুত করে শাস্তির দাবি জানান। ওই শিক্ষক ঠাকুরগাঁ জেলার দানারহাট ঊপোজেলার বাসির উদ্দিনের ছেলে।  

সংবাদ সম্মেলনে শিবলী আক্তার বলেন, তার স্বামী মোতাহার হোসেন বর্তমানে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের আর এ সি বিভাগের একজন শিক্ষক। নান প্রলোভন দেখিয়ে সে তাকে বিয়ে করে। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আগের স্ত্রীর কথা। তখন তাদের মধ্যে এ নিয়ে কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে মোতাহার তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়।

শিবলী আক্তার বলেন, এর আগে তার স্বামী ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ থানার সদরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করতেন। সেখানে প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন তার স্বামীকে মারধর করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে জরুরীভাবে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বদলি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বগুড়ায় বদলীর পর কলেজের এক ছাত্রীকে সে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। ওই ছাত্রী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী ছিলো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার স্বামী পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী হওয়ায় ওই ছাত্রীর পিতামাতা আমার স্বামী মোতাহারের সাথে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে অবৈধ মেলামেশার সুযোগ করে দেয়। এরপর তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রীর মতো বাস করা শুরু করে।
এই অবস্থায় স্বামী নিয়ে তার সংসার জীবন অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। আমার স্বামীর মতো লম্পট যদি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে তাহলে আরো অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট হবে।
সম্মেলন শেষে তিনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে তার স্বামীকে চাকরীচ্যুত করে কঠিন শাস্তির দাবি জানান।