দেশে টেলিস্কোপ দিয়েও দরিদ্র খুঁজে পাওয়া যাবে না: অর্থমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৬ বার।

আগামী এক দশকে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০৩০ সালের পর দেশে টেলিস্কোপ দিয়েও দরিদ্র খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশাপ্রকাশ করেন। খবর দেশ রুপান্তর 

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ৫ বছরের মধ্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাবে।’

রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে তিনি এসব বলেন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশ আবাসিক মিশন বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি, সেবা সরবরাহ এবং স্মার্ট প্রশাসন প্রচারের জন্য দুদিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী সেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে উৎপাদন ব্যয় কম। পাশাপাশি একটি অবস্থান সুবিধাও রয়েছে। গত দশ বছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩০তম অর্থনীতির দেশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে’। ২০৩০ সালের পর দেশে টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও দরিদ্র মানুষ পাওয়া যাবে না। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর সেরা ২০ অর্থনীতির মধ্যে ঢুকে পড়বে।

এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশটিকে আজ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসাবে দেখা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদা নাসরিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।