বিপ টেস্ট আতঙ্কে ক্রিকেটাররা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৩ বার।

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের এখন খুব ব্যস্ত সময়। জাতীয় লিগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সকাল-বিকেল কঠোর অনুশীলন করছেন খেলার জন্য ফিট হতে। ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলা শহরের মাঠগুলোতেও ক্রিকেটারদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড় উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খেলোয়াড়রা দলে দলে ফিটনেস এবং স্কিল নিয়ে কাজ করেন। কিছুদিন ধরেই এটি বিসিবি একাডেমি মাঠের নিয়মিত দৃশ্য। হঠাৎ করে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে এমন নিষ্ঠাবান হওয়ার কারণ বিপ টেস্ট আতঙ্ক।

জাতীয় লিগে খেলতে হলে ফিটনেস পরীক্ষায় তথা বিপ টেস্টে নূ্ন্যতম ১১ স্কোর করতে হবে। যেটা ক্রিকেটারদের ভেতরে ভীতি ছড়িয়েছে। সিনিয়রদের কেউ কেউ তো নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেও ছাড়ছেন না। জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান গতকাল যেমন বললেন, 'এই নিয়মটা ১৯ বছরের একটা ছেলের জন্য হতে পারে। আমি বা রাজ্জাকের মতো ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে বিপ টেস্টে ১১ স্কোর করতে বলা অন্যায়।'

জাতীয় লিগে খেলতে আগেও বিপ টেস্ট দিতে হতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের। গত বছর টার্গেট স্কোর দেওয়া হয়েছিল ১০। যেখানে ৯ বা সাড়ে নয় স্কোর করেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন খেলোয়াড়রা। তবে এবার একটু হার্ডলাইনে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ১১-এর নিচে স্কোর হলে জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে না। ক্রিকেটারদের আতঙ্কের কারণ এটাই।

যদিও বিসিবির নির্ভরযোগ্য একটি গতকাল সমকালকে জানায়, বিপ টেস্টে ১০ বা সাড়ে ১০ স্কোর করলেও খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। ১ অক্টোবর মিরপুরে নেওয়া হবে জাতীয় লিগের ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট। এই পরীক্ষা সামনে রেখে নাঈম ইসলাম, আল আমিন হোসেন, তামিম ইকবালরা ব্যক্তিগতভাবেও বিপ টেস্ট দিয়ে নিজেদের ফিটনেস যাচাই করে দেখেছেন। ত্রিশোর্ধ্ব ক্রিকেটারদের অনেকেই টার্গেট স্কোর করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। নাঈম সাড়ে ১০ স্কোর করেছেন। আল আমিন ১৩ স্কোর করতে চান বিসিবির পরীক্ষায়। ইলিয়াস সানি, আরাফাত সানিরাও প্রস্তুত বিপ টেস্টে ভালো করতে।

তবে এই ক্রিকেটারদের আগ্রহের জায়গা হলো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যও বিপ টেস্টে একই নিয়ম থাকবে কি-না। তারকা ক্রিকেটাররা ফিটনেসে ছাড় পেলে লিগের নিয়মিত খেলোয়াড়রাও ছাড় চাইবেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর হলো, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বিপ টেস্টে সাড়ে ১১ স্কোর সেট করেছেন। শ্রীলংকা থেকে প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেন, 'কোচ ফিটনেসের ব্যাপারে সিরিয়াস। সামনে জাতীয় দলের ক্যাম্পে সাড়ে ১১ স্কোর না করলে অনেকে দলে জায়গা নাও পেতে পারে।' সুতরাং প্রধান নির্বাচকের এ কথার পর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও নিশ্চয়ই ফিটনেস পরীক্ষাকে সিরিয়াসলি নেবেন।