যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত বগুড়ায় মাদ্রাসার সেই দপ্তরি সাময়িক বরখাস্ত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৩ বার।

বগুড়ার শেরপুরে মামুরশাহী দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত একই মাদ্রাসার সেই দপ্তরি আবু সাঈদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার সাধুবাড়ী পাকারমাথা এলাকায় দপ্তরি আবু সাঈদকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল আলম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যায়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে মাদ্রাসায় খাবার বিরতি চলাকালে ছাত্রী বিশ্রামাগারে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায় দপ্তরি আবু সাঈদ। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এলে কৌশলে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে ওই ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার জরুরি ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভা বসানো হয়। সেখানে দপ্তরি আবু সাঈদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আ.লীগ নেতা শাহাদৎ হোসেন বলেন, 'অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। তাই ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে জেলহাজতে থাকা ওই দপ্তরিকে প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগটি সত্য প্রমাণিত হলেও তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবে। তবে তার দোষ না পাওয়া গেলে তাকে চাকরিতে আবারো বহাল করা হতে পারে।