পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না: বাণিজ্যমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৮ বার।

দেশে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, সব ভোক্তা যদি সাতদিন পণ্যটি না কিনে, তাহলে তাদের পেঁয়াজ কিন্তু পঁচে যাবে। এ সুযোগটা তারা নিতে পরবেন না। আমরা পেঁয়াজের জন্য হাহাকার করছি। এটা তাদের সুযোগ। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দেশি পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরা এ সুযোগটা নিচ্ছেন। নয় তো কোনো অবস্থাতেই এত দামে বিক্রি হওয়ার কথা না। একটি সমস্যা আছে, কিছুদিনের মধ্য পেঁয়াজে পঁচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়। সব খরচ ধরেও দাম কোন অবস্থাতেই ৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। দেখবো কোথাও মজুত করে রাখা হয়েছে কি-না। ইতোমধ্যে আমাদের মনিটরিং টিম বেশ কিছু বাজারে গিয়ে জরিমানা করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে যেটুকু করা সম্ভব আমরা সবটা করছি। আশা করছি, দুই একদিনের মধ্যে বা আজ-কালের মধ্যে দাম কমে যাবে।

তিনি বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসলে খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণের ব্যবস্থা নেবে সরকার। মিয়ানমার থেকে ৪৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আরও ৪ থেকে ৫০০ টন আসবে। ফলে কাল বা পরশুর মধ্যে দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় চলে আসবে।

টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজের একটি দাম নির্ধারণ করতে শিগগির সবার সঙ্গে বসব। এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলে পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে। তবে পেঁয়াজ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেন নিজেদের সক্ষমতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হই। এটাই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। 

তিনি বলেন, আমি মনে করি ভারত দাম যেটা বাড়িয়েছে, সেটা লজিক্যাল। তবে রপ্তানি যে বন্ধ করে দিয়েছে, এটার প্রভাব পড়তে একটু দেরি হবে। কারণ বাজারে আগেই অনেক পেঁয়াজ প্রবেশ করে আছে। তারপরও রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয় দিয়েছেন। আমাদের চেষ্টা হলো বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ করা। আমরা সেটা চেষ্টা করছি। ভারতেও পেঁয়াজের দাম ১০০ রুপির কাছাকাছি। 

বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসলে দাম নির্ধারণ করে দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলবো। দেখি বাজারে একটি সহনীয় দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় কিনা। যেহেতু আমরা একটি আমদানি দাম পেয়েছি। এর সঙ্গে বিভিন্ন খরচ ধরে একটি দাম নির্ধারণ করা যেতে পারে। তাই আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।

পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৩ লাখ পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি থাকে। যার বেশির ভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।