টাকার বিনিময়ে র‌্যাংকিংয়ে স্থান ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৫ বার।

আবারও টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ে নাম উঠানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামনে উপস্থানের কাজ করে ব্রিটিশ হায় হায় কোম্পানি কুয়াকুয়ারেলি সাইমন্ডস লিমিটেড (কিউএস)। তাদেরকে দিয়ে করানো একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর এশিয়ার সেরা ৫শ' বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১১টি প্রতিষ্ঠানই চীনের। এরপরই জাপানের ৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তালিকায়। ভারতের রয়েছে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকায় বাংলাদেশের মাত্র ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নম রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দুটি এবং বেসরকারি চারটি। খবর দৈনিক শিক্ষা

তালিকায় সেরা ১০-এ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনইউএস), দ্য ইউনিভার্সিটি অব হংকং, নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ) সিঙ্গাপুর, চীনের সিনহুয়া ইউনিভার্সিটি, পিকিং ইউনিভার্সিটি ও ফুদান ইউনিভার্সিটি, হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কোরিয়ান অ্যাডভান্স ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়ার সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৩টি চীনের। এই তালিকায় বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও স্থান হয়নি। তবে এতে ভারতের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। পাকিস্তানের রয়েছে ২টি। সেরা ৫০০তে থাকা বাংলাদেশের দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১২৭তম। মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে ১৭৫ নম্বরে নাম এসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে আছে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি , ব্র্যাক ও নর্থ সাউথ এবং ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

মূলত টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শিক্ষক ও কর্মচারীদের দক্ষতা, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভাগীয় কৃতিত্ব তথা গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে কিউএস। 

জানা যায়, বাংলাদেশের জামাতপন্থী বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফেডিল এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকপক্ষ ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে  যোগাযোগ করে সুকৌশলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। 

এর আগে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন একটি সংস্থার উদ্যোগে একটি র‌্যাংকিং প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দেখা যায় নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়টি নাম ওই তালিকাং স্থান পেয়েছে। অথচ ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কথিত ওই জরিপ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি ও তাদের টাকায় তৈরি করা জরিপ।