হঠাৎ বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট: ঢাকায় সমাবেশের সিদ্ধান্ত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৭ বার।

কোনো আগাম নোটিশ ছাড়া হঠাৎ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বৈঠক করেছে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের আইনি চেম্বারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে, অবিলম্বে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান হয়।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ আয়োজনের চিন্তা করছে। এ ছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্ট গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করবেন তারা। তবে কোথায় সমাবেশ হবে তা না জানালেও অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো উন্মুক্ত স্থান অথবা ঘরোয়াভাবে এ সমাবেশ করা হবে।

বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত কয়েক দিনে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে রাষ্ট্রের ক্ষত ও বেআইনি কার্যকলাপের চিত্র ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের অবাধ বাণিজ্য, আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করার যে রূপ প্রকাশিত হয়েছে তা ভয়াবহ ও ভয়ংকর। কেবল সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এবং মদদে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এ ধরনের অনিয়ম-অপকর্ম সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্র বড় ধরনের অভ্যন্তরীণ সংকটে নিপতিত হবে এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে’।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত শাসন-প্রশাসন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার, সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে দ্রুত বর্তমান পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার ঘোষণা করুন। অবিলম্বে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। বিদ্যমান রাজনীতি ও শাসনতান্ত্রিক সংকট নিরসনে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় সংলাপ করে পথ নির্ধারণ সময়ের দাবি। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের খুন, গুম, রাতের আঁধারের ভোট ডাকাতি এবং দুর্নীতি লুটপাটের তদন্তে গ্রহণযোগ্য জাতীয় কমিশন গঠন করুন’।

ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠক আগামী ৬ অক্টোবর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের আইনি চেম্বারে অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সব কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানা গেছে।

বৈঠকে আরো অংশ নেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যর ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।