ভারতের তাবেদারি জনগণ মেনে নেবে না: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং এ সম্পর্কে দেওয়া যৌথ বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেছেন, ভারতের তাবেদারি জনগণ মেনে নেবে না।

রোববার এক বিবৃতিতে তারা একথা বলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেন বাংলাদেশের সমু্দ্র উপকূলে ভারতকে ২০টি নজরদারি রাডার স্থাপন করতে দেয়া হবে? জনগণ তা জানতে চায়। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিপত্য নজরদারি বিস্তারের অনুমোদন কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতকে অগ্রাধিকার দেওয়া, নিজ দেশে জ্বালানি সংকট সত্ত্বেও ভারতে তরল গ্যাস রফতানির সিদ্ধান্ত, দীর্ঘ ১০ বছর তিস্তার পানি বন্টনে ভারতের প্রতারণা সত্ত্বেও ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি ভারতকে সরবরাহের অনুমোদন প্রভৃতি হাসিনা সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী দৃষ্টান্ত।

এতে আরও বলা হয়, নয়াদিল্লীর যৌথ বিবৃতিতে ভারতের বিতর্কিত এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। অথচ আসামে এনআরসির কারণে সৃষ্ট অনাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শাসক বিজেপি দলের নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের নিয়ন্ত্রণ কতটা গভীর ও বিস্তৃত তা নয়াদিল্লীর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের ঘাড়ের উপর চেপে থাকা হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন অবসান জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।