সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় কাদেরের দুঃখ প্রকাশ, ৫ পুলিশ প্রত্যাহার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৯ বার।

রাজধানীর আজিমপুরে ইয়াবা দিয়ে সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কালামসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ।

রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে 'কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম' শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালা শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মোবারকের (বিডিনিউজের প্রতিবেদক) বিয়ের অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। এরপর আবার এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা শুনে আমার খারাপ লেগেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি এ বিষয়টি জানেন। আমি এ বিষয়টি তাদের সঙ্গে মনিটর করব। যাতে সম্মান জনক সুরাহা হয়।

সাংবাদিক কাজী মোবারক বলেন, গত শনিবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। বাসার সামনে এলে লালবাগ থানার এসআই কালাম ও এক কনস্টেবল আমার পথরোধ করে জোর করে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করেন। গাড়িতে উঠতে না চাইলে এসআই আমাকে বলেন, তোকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দেব। মামলা না খেতে চাইলে গাড়িতে ওঠ। তা সত্ত্বেও গাড়িতে না উঠলে তিনি আমাকে মারধর করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। টার্গেট এচিভ না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলবে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউই পার পাবে না।

তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যাদের সন্দেহ করেছেন, অ্যারেস্ট  হয়েছে।  সামনে আরও অ্যারেস্ট হবে। এটা কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, অপরাধী যে হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। এটা গভর্নমেন্টের ইচ্ছা। গভর্নমেন্ট এ ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে।

'ভারতের সঙ্গে অসাংবিধানিক চুক্তি আড়াল করতেই সম্রাটকে গ্রেপ্তারের নাটক করছে সরকার' বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতিবাচক নোংরা রাজনীতি। এই নোংরা রাজনীতির কারণে বিএনপি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সাতটা সমঝোতা স্মারক হয়েছে। তিনটা প্রজেক্টের উদ্বোধন হয়েছে। কোথায় কোন লাইনে, কোন অংশে অসাংবিধানিক কিছু আছে, অগণতান্ত্রিক কিছু আছে এটা তথ্য-প্রমাণসহ মির্জা ফখরুল সাহেবকে দেখাতে হবে।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।