ফেনী নদী থেকে সাড়ে ৫১ লিটার পানি নেবে ভারত: মন্ত্রণালয়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৭ বার।

ফেনী নদী থেকে যে পরিমাণ পানি প্রত্যাহার করে ভারতে নেয়া হবে তার পরিমাণ ‘খুব সামান্য’ বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, প্রতিবেশী হিসেবে মানবিকতার বিবেচনায় এতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুক্তির ব্যাখ্যা দেয় মন্ত্রণালয়।

পানির পরিমাণ উল্লেখ করে এতে বলা হয়, পানির পরিমাণ হলো ১.৮২ কিউসেক, যা কিনা পরিমাণে খুব সামান্য, যেখানে ১ কিউসেক সমান ২৮.৩২ লিটার।

সে হিসেবে ফেনী নদী থেকে সাড়ে ৫১ লিটারের কিছু বেশি পানি নেবে ভারত।

মন্ত্রণালয় বলেছে, শুকনা মৌসুমে ফেনী নদীর পানির গড় পরিমাণ ৭৯৪ কিউসেক এবং বার্ষিক পানির গড় পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮৭৮ কিউসেক। তাহলে দেখা যায়, ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক করে পানি প্রত্যাহার শুষ্ক মৌসুমের গড় পানি প্রবাহের ০.২৩ শতাংশ।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত; ওই পানি তারা ত্রিপুরা সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু পানের জন্য বিধায় মানবিকতা ও প্রতিবেশীসুলভতাকে বিবেচনা করে তাতে সম্মতি দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখা হয়ে অনেক দূর প্রবাহিত হয়ে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাশ দিয়ে ফেনী নদী বাংলাদেশে ঢুকে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার সাবরুম শহরে ফেনীর পানি প্রত্যাহারের আলোচনাটি ২০১০ সাল থেকে আলোচনায় বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তারা জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় ‘ডিসকাশন অব ওয়াটার রিসোর্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের  সেক্রেটারি লেভেল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।  এ মিটিং এর গৃহীত সিদ্ধান্তপত্রের ৯ নং আর্টিকেলে বলা হয় টেকনিক্যাল লেভেল মিটিং এর সুপারিশের ভিত্তিতে ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক পানি পানের জন্য দেয়া যেতে পারে মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ওই বছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকেও পানি দেওয়ার পক্ষে সম্মতি আসে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।