ফাহাদের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিল থেকে আবরার ফাহাদ হত্যায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

হত্যার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিন্নমত পোষণ করায় কাউকে হত্যা করা কোনোভাবে মানা যায় না।

পরে মিছিলটি বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফাহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। ফাহাদ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে।

বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু বলেছেন, ‘ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।’

তিনি বলেন, ‘ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।’

এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘প্রমাণ পাওয়ার পরে চতুর্থ বর্ষের ভাইদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার সেখানে আসেন। একপর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো ওরা মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত ৩টার দিকে শুনি ফাহাদ মারা গেছে।’

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী বলেন, ‘রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করেছে।