আবরার হত্যা: সাত দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান শিক্ষার্থীদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৪ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুয়েটে জড়ো হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে মিছিল বের করেন তারা। ‘আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার চাই’—ব্যানারে এ মিছিলের পর তারা সাংবাদিকদের সামনে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বুযেটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো— 

১. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের সবার ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। 

৩. দায়েরকৃত মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

৪. বুয়েট উপাচার্য ঘটনার ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ক্যাম্পাসে না আসার বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে জবাব দিতে হবে। ঘটনার পর ডিএসডব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) স্যারের ঘটনাস্থল থেকে পলায়নের বিষয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে তাকে জবাব দিতে হবে। না হলে বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সমকাল অনলাইন

৫. আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ এবং এসব ঘটনায় জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল ও সোহরাওয়ার্দী হলে নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে জড়িত সবার ১১ তারিখের বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

৬. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে সাধারণ ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে নীরব থাকা ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।

৭. মামলা চলাকালীন সব খরচ ও আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। তবে পকেট গেট দিয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা ভেতরে ঢোকেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দরজা খুলে দেওয়া হয়। 

দুর্গাপূজা উপলক্ষ বুয়েটের সমস্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ। তবে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা।