সম্রাটের 'বুকে ব্যথা' নেওয়া হলো হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৪ বার।

'অসুস্থ' হয়ে পড়ায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

সম্রাটের সঙ্গে থাকা কারারক্ষী মো. মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বুকে ব্যথা অনুভব করায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া পরামর্শ দেন। পরে সকাল ৮টার দিকে সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

গত শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব জানায়, শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী চলমান কঠোর অভিযানে যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের মধ্যে সম্রাট সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীতিক। গ্রেফতার এড়াতে তিনি গোপনে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তলব করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর তার বিদেশ গমনে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। সমকাল অনলাইন

গ্রেফতারের পর রোববার সম্রাট ও আরমানকে আনা হয় ঢাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। একই সময়ে র‌্যাব সদস্যরা পৃথকভাবে মহাখালী ডিওএইচএস ও শান্তিনগরে তার বাসায় অভিযান চালান। এ ছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি আরমানের মিরপুরের বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সম্রাটের কার্যালয় থেকে পিস্তল, ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন, গুলি, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও ক্যাঙ্গারুর চামড়াসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করে র‌্যাব। 

অভিযান শেষে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরমানকেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া রোববারই এই দু'জনকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সোমবার ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে র‌্যাব। এর মধ্যে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে বিশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হওয়ার কথা। রমনা থানায় দায়ের করা মাদকের মামলায় এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধেও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।