রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭২ বার।

কক্সবাজারের টেকনাফে দিন দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্যে করে গুলি ছুড়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার জাদিমুড়া শালবাগান নছিরউল জামান নামক জায়গায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা ওই গুলি ছোড়ে। এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর সমকাল অনলাইন

টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি জায়গায় শীর্ষ ডাকাত জকির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে ধাওয়া করে। এস ময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাহাড়ি অঞ্চলে ঢুকে পরে।

মনির আরও বলেন, সোমবার গভীর রাতে ওই ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী জকির ও সেলিমের গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানকার লোকজন জানিয়েছিল- গুলি করে শীর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে হত্যা করে লাশ পাহাড়ে গুম করা হয়েছে। লাশ না পওয়া পর্যন্ত, সেই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওপর নজর রাখেন এমন একাধিক দায়িত্বশীল পদস্থ কর্মকর্তা জানান, টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ডাকাত দলের যারা সক্রিয় রয়েছে তারা হলো- জাকির ডাকাত, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ কামাল, আান উল্লাহ, মোহাম্মদ হামিদ, হামিদ মাঝি, খায়রুল আমিন, মাহমুদুল হাসান, হামিদ, নেছার, সাইফুল ওরফে ডিবি সাইফুল, রাজ্জাক, বুল ওরফে বুইল্লা, রফিক, মাহনুর ওরফে ছোট নুর। তারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে নানা অপরাধ করছে। তাদের মূল নেতা হিসেবে রয়েছে আবদুল হাকিম। এখন নিজেদের মধ্যে কোন্দলে ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা বাড়ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা।

টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সৈয়দুল আমিন বলেন, ‘ক্যাম্পের গোলাগুলি ঘটনা নতুন নয়। প্রায় সময়ই সেখানে দিন-রাতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে। এই ক্যাম্পটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় কিছু পাহাড়ি ডাকাতরা এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, জাদিমুড়ায় ২৬-২৭ নম্বর ক্যাম্প অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বেশ কয়েক দফা ওই ক্যাম্পে অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন।  অভিযানের তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা। সন্ধ্যার পর ক্যাম্প এলাকায় ঢুকতেও ভয় পান অনেকে।

র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, গোলাগুলি খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় কাউকে কোনো ধরনের অপরাধে জড়াতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে ডাকাত গ্রুপসহ অন্যান্য যেসব অপরাধ চক্র সক্রিয় রয়েছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। কয়েকজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যরা শিগগিরই ধরা পড়বে।